শুধু যে এই বিপরীতধর্মী মতামত আমাদের বিভ্রান্ত করছে তা নয়। অসংখ্য বিকল্প থেকে একটি বেছে নিতে গিয়েও আমরা কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি। ধরা যাক আপনি একটি ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম কিনতে চান। সার্চ দিলে অসংখ্য রেজাল্ট এলো যার প্রতিটিতেই নিজস্ব পণ্য সম্পর্কে ভালো ভালো কথা লেখা। আপনি কোনটা বেছে নেবেন?
Too many choices can lead to no choice!
দায়টা আমাদেরও। আমরা সবসময় নতুন কিছু খুঁজছি, আপডেটেড ভার্শন ব্যবহার না করলে আমাদের স্ট্যাটাস থাকে না। আর এরই প্রভাব পড়ছে বাজারে। জীবন ক্রমশ হচ্ছে পণ্যশাসিত। একাগ্রতা হারিয়ে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে আমাদের মন।
ছোট্ট তালিকা ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হবার পর এবার নতুন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকে। তালিকার মধ্যে যেসব জিনিস আপনাকে বিভ্রান্ত করছে সেগুলো কে ছেটে ফেলুন। মানে একদম চিরতরে বিদায় করে দিন। শুরুতে ব্যাপারটা কঠিন লাগতে পারে, তবে এটা অত্যন্ত জরুরী।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করার কথাই ধরা যাক। ওজন কমানো আর সুস্থতার জন্য আপনি হয়তো এ কদিন বেশি করে নিরামিষ খেয়েছেন। এবার পুরোপুরি নিরামিষাসী হয়ে যান। বাসা থেকে সমস্ত মাছ-মাংস সরিয়ে ফেলুন। কোথাও নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেলে আপনার জন্যে ভেজিটেবল রাখতে বলুন। রেস্টুরেন্টে গেলে আমিষ মেনুর দিকে ভুলেও তাকাবেন না। মনে রাখবেন, Out of sight, out of mind.
এবার আর নতুন কিছু না। এই পর্যায়ে দরকার শুধুই আপনার কমিটমেন্ট। নতুন অভ্যাসগুলো আত্মস্থ করুন, এর মাঝে লুকোনো আনন্দ, অভিযান আর উদ্দীপক ব্যাপারগুলো অন্বেষণ করুন। দেখবেন অল্প কিছু থেকেও কত না সুখ আহরণ করা যায়! তাহলে কেন খামোখা দেখানোপনা করে বিশাল পণ্যরাজির ভোক্তা হবেন?
Sometimes less really can be more.
অনলাইন জীবনের ক্ষেত্রে, হয়তো বা আপনি যে নিউজ ব্লগটি ফলো করছেন তাতে আপনার চাহিদা মিটছে না। সেক্ষেত্রে কোন প্রযুক্তি ব্লগ বা কমিউনিটি ব্লগেও ঢু মেরে দেখতে পারেন।
প্রযুক্তিকে এড়িয়ে চলা অসম্ভব। আবার প্রযুক্তির ওপর অতি নির্ভরতাও সুফল এনে দেয় না। তাই প্রযুক্তিকে আশীর্বাদ হিসেবে পেতে চাইলে এর সুষ্ঠু ব্যবহার করা আবশ্যক। তবেই জীবন হবে গতিময় এবং সাচ্ছন্দ্যপূর্ণ।